| বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট | 6 বার পঠিত
শেয়ারবাজারে তারল্য সঙ্কট নিরসন ও বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে তিন হাজার কোটি টাকার ঋণের বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের চিঠি বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে পেয়েছে ইেনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ঋণের এই অর্থের সুদহার ধরা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সুদহার অনুযায়ী। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে সময়ে সময়ে বৃদ্ধি পাওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান নীতিহার হচ্ছে ১০ শতাংশ। ঋণের এই অর্থের সার্বভৌম (সভরেইন) গ্যারান্টার হয়েছে সরকার। গ্যারান্টার হওয়ায় কোনো কারণে আইসিবি ঋণের অর্থ ফেরত দিতে না পারলে সরকারকে তা পরিশোধ করতে হবে।
আইসিবিকে দেয়া সরকারের গ্যারান্টির মেয়াদ হবে ঋণ দেওয়ার তারিখ থেকে ১৮ মাস। সরকারের দেওয়া গ্যারান্টিপত্রে বলা হয়, আইসিবি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে যে মুনাফা দেয়, সেখান থেকে অপরিশোধিত বা বকেয়া ঋণ বা ঋণের উপর ধার্য সুদ সমন্বয় করা যাবে।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে শেয়ারবাজারে লেনদেন ও সূচক বাড়ছিল। কিন্তু সেই ধারা ছিল মাত্র দুই সপ্তাহ। ১৪ অগাস্টের পরে বাজারে ধারাবাহিক পতন শুরু হয়। এমনকি একদিনে সূচকের একশ পয়েন্ট হারানোর ঘটনাও বিনিয়োগকারীরা দেখেছেন। পতনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বাজারে তারল্য প্রবাহে সংকট রয়েছে ও আইসিবিও বিনিয়োগ করতে পারছে না এমন দাবি করে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে তিন হাজার কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি চায় প্রতিষ্ঠানটি। ঋণ আবেদন পর্যালোচনা করতে গত ১৭ অক্টোবর অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান সচিব ও শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বিএসইসি এর চেয়ারম্যানকে নিয়ে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ঋণ দিতে সম্মত হয়েছিল সরকার।
Posted ১২:২১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
bankbimaarthonity.com | saed khan